রাজশাহীর একটি উপজেলা মোহনপুর। ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত অত্র উপজেলা। গত ২২-১২-২০০০ খ্রিঃ রায়ঘাটি ইউনিয়নের ১৭টি গ্রাম নিয়ে একটি পৌরসভা গঠিত হয়, যা কেশরহাট পৌরসভা নামে পরিচিত। ১৯৭১ খ্রিঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানীদের হামলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য সক্রিয় ছিল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। পাকিস্তানীদের হামলাকরিদের হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য সংবাদদাতা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু যুদ্ধের ঐ ৯ মাসে অত্র উপজেলার কোথাও পাকসেনাদের হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে কেশরহাটের সন্নিকটে সাঁকোয়া মাদ্রাসায় রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করা হলে, সেই ক্যাম্পের রাজাকারদের নির্মম অত্যাচারে অনেকেই জীবন দিয়েছেন।১৯৭১ খ্রিঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্যে অত্র উপজেলার কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতের শিলিগুড়ী জেলার পানিঘাটা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহন শেষে সেক্টর অনুযায়ী রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা সহ মোহনপুর উপজেলার অনেক স্থানে অপারেশন করেন।
রাজাকারেরা সাঁকোয়া ক্যাম্প হতে পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামে হিন্দু পরিবার ও আওয়ামী পরিবারের বাড়ীঘর লুটপাট সহ গরু-ছাগল জোর পূর্বক ধরে এনে জবেহ করে খাওয়া এবং অনেক মা বোনের ইজ্জত নষ্ট করতেও দ্বীধাবোধ করে নাই। মোহনপুর উপজেলাটি ৭ নং সেক্টর নামে পরিচিত। অত্র উপজেলার কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতে প্রশিক্ষন গ্রহন করলেও নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বাঁকপুর গ্রামের অনেকেই প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।
২৬-১১-১৯৭১ খ্রিঃ দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটে সাঁকোয়া রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন করে উক্ত ক্যাম্প দখল ও সাঁকোয়াকে রাজাকার মুক্ত করে বড় রকমের সাহসিকতার প্রমান দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। তথ্য দাতাদের তথ্যানুযায়ী জানা যায় সাঁকোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরপাশে একই সাথে ৩৮ জনকে পুতে রাখা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS